
এডেলগিভ হিউরান ইন্ডিয়া । টুইটার নিউজ। ভারতীয় বহুজাতিক কোম্পানি উইপ্রোর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আজিম প্রেমজি ২০২০ সালে ভারতের জনহিতৈষীর তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছেন। চলতি বছর তিনি ৭ হাজার ৯০৪ কোটি ভারতীয় রুপি দান করেছেন। প্রতিদিনের হিসাবে দানের এই পরিমাণ ২২ কোটি রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা দাঁড়ায় ২৫ কোটি টাকার বেশি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বুধবার এই তথ্য জানানো হয়। ‘এডেলগিভ হিউরান ইন্ডিয়া ফিলানথ্রোপি লিস্ট ২০২০’ অনুযায়ী ৭৫ বছর বয়সী আজিম প্রেমজি শীর্ষস্থান পেয়েছেন। এই তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছেন এশিয়ার শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানি।
My father has always believed that he was a trustee of his wealth and never it’s owner. Being part of the communities in which we live and work is also a core part of Wipro. pic.twitter.com/TiDL58S23M
— Rishad Premji (@RishadPremji) November 11, 2020
এডেলগিভ হিউরান ইন্ডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, কোভিড-১৯ মোকাবিলার জন্য গত ১ এপ্রিল ১ হাজার ১২৫ কোটি রুপি দানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আজিম প্রেমজি ফাউন্ডেশন, উইপ্রো ও উইপ্রো এন্টারপ্রাইজেস। এর মধ্যে আজিম প্রেমজি ফাউন্ডেশনের অর্থের পরিমাণ ১ হাজার কোটি, উইপ্রোর ১০০ কোটি ও উইপ্রো এন্টারপ্রাইজের ২৫ কোটি রুপি। এর সঙ্গে রয়েছে উইপ্রোর বার্ষিক সামাজিক দায়বদ্ধতার (সিএসআর) ও আজিম প্রেমজি ফাউন্ডেশনের নিয়মিত সমাজসেবামূলক কাজে ব্যয় করা দানও।
আজিম প্রেমজির ছেলে রিশাদ প্রেমজি এক টুইট বার্তায় লেখেন, ‘আমার বাবা সব সময় বিশ্বাস করেন, তিনি তাঁর সম্পদের মালিক নন। তিনি এসব সম্পদের একজন তত্ত্বাবধায়ক মাত্র।’ রিশাদ আরও লেখেন, ‘আমরা যে সমাজে বাস ও কাজ করি, সে সমাজও উইপ্রোর অবিচ্ছেদ্য অংশ।’
গত বছর গুজরাট বিদ্যাপীঠের স্নাতক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সামনে বক্তব্য দিয়েছিলেন আজিম প্রেমজি। সেখানে তিনি নিজের সমাজসেবামূলক কাজের অনুপ্রেরণার গল্প শুনিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর সমাজসেবামূলক কাজের পেছনে দুজন মানুষের অনুপ্রেরণা রয়েছে। প্রথমত, তাঁর মায়ের এবং দ্বিতীয়ত, মহাত্মা গান্ধীর।
এডেলগিভ হিউরান ইন্ডিয়া ফিলানথ্রোপি লিস্ট ২০২০ অনুযায়ী, ভারতে জনহিতৈষী কাজের দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন এইচসিএল টেকনোলজিসের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শিব নাদার। সমাজসেবায় তাঁর পরিবারের দানের পরিমাণ ৭৯৫ কোটি রুপি। তৃতীয় স্থানে থাকা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুকেশ আম্বানি ও তাঁর পরিবারের দানের পরিমাণ ৪৫৮ কোটি রুপি।
এই তালিকার চতুর্থ স্থানে থাকা কুমার মঙ্গলম বিড়লার চলতি বছর দানের পরিমাণ ২৭৬ কোটি রুপি। পঞ্চম স্থানে আছেন বেদান্ত সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অনিল আগরওয়াল। অনিল ও তাঁর পরিবার ২১৫ কোটি রুপি দান করেছেন। ষষ্ঠ স্থানে থাকা পিরামল গ্রুপের চেয়ারম্যান অজয় পিরামল ও তাঁর পরিবারের দানের পরিমাণ ১৯৬ রুপি। তালিকার দশম স্থানে থাকা বাজাজ গ্রুপের চেয়ারম্যান রাহুল বাজাজ ও তাঁর পরিবারের দানের পরিমাণ ৭৪ কোটি রুপি।