বুধবার রাতে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানিয়েছেন ডাকসুর সাবেক জিএস, জাসদ নেতা মুশতাক হোসেন।
৮০ বছর বয়সী সিরাজুল আলম খান উচ্চ রক্তচাপসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন।
ডা. মুশতাক বলেন, “অসুস্থ বোধ করলে রাতে দাদা ভাইকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
“আগেই তার হার্টের অপারেশন হয়েছিল। এছাড়া কোমর ভেঙে যাওয়ায় হিপ ট্রান্সপ্লান্ট করতে হয়েছে। তবে কোনো দীর্ঘমেয়াদী রোগ ছিল না, তিনি মোটামুটি সুস্থই ছিলেন। এখন অসুস্থ হওয়ায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দীন বুধবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তার শ্বাসকষ্ট আছে, ফুসফুসে প্রদাহ আছে, হার্টেও সমস্যা আছে। বয়স্ক মানুষ তো, তার অবস্থা কী, তা এখনই বলা কঠিন। কাল আমরা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখব।”
দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে কাটিয়ে আসা চিরকুমার সিরাজুল আলম খান ঢাকার কলাবাগানে ভাইদের সঙ্গে থাকেন ।

(সিরাজুল আলম খান আমাকে যা বলেছেন- বইটি বাজারে আনার কাজ চলছে)
গত শতকে ষাটের দশকে স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ছাত্রলীগের যে ‘নিউক্লিয়াস’ আলোচনায় আসে, তার উদ্যোক্তা ছিলেন সিরাজুল আলম খান, তাকে সবাই ‘দাদা ভাই’ নামেই ডাকত। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ ভেঙে জাসদ গঠনের উদ্যোক্তাও ছিলেন সিরাজুল আলম খান।
সিরাজুল আলম খান কখনও জনসম্মুখে আসেন না এবং বক্তৃতা-বিবৃতি দেন না; আড়ালে থেকেই তৎপরতার জন্য তাকে ঘিরে রহস্যের সৃষ্টি হয়।